নিশীথ সূর্য এমন একটি ঘটনা যেখানে সূর্য রাতের বেলায়ও অস্ত যায় না। আর্কটিক সার্কেলে এটি গ্রীষ্মের অয়নকালে (যখন সূর্য বিষুবরেখা থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে), কিন্তু উত্তর মেরুতে সূর্য পুরো ছয় মাস ধরে অস্ত যায় না। সেক্ষেত্রে জায়গাভেদে এর সময়কাল ভিন্ন হতে পারে। নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের উত্তরের বৃহত্তম শহর ট্রমসো এর লোকেরা প্রতি বছর প্রায় দুই মাস এই ঘটনার সাক্ষী হয়, যার আনুমানিক সময়কাল ২০ মে থেকে ২২ জুলাই৷ তারও উত্তরে মধ্যরাতের সূর্য আরও কয়েক সপ্তাহের জন্য দৃশ্যমান হয়, প্রায় ১৪ মে থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত।
![নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে](https://i0.wp.com/blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3cAugmDFF9CbA3h6smqFPl-cBaAFRAe9Mro0HL-IXHpj7gWe-B9QXAacF8JWeX6TIiblr1rMsat7yi-yTSk2p7kY3i0ZAMpReGkDnfbwAFqyQCBvWqDAvzXZjqgRPEUnV2Zb4EQP23kxCqQm4eImKSA5KfuZKWSyaglNR0pdza70LtiV3WZsf4VMLMg/w400-h300/Hitra-Midnight-Sun-Fish-Dolmoy-Norway-3870525.jpg?w=875&ssl=1)
নিশীথ সূর্যের দেশ
My bangla blog এর সকল পোস্ট গুগল নিউজে পেতে ভিজিট করুন এখানে Google news
নরওয়েতে বেশ কয়েকটি শহরে মধ্যরাতের সূর্যের জাদু উপভোগ করা যায় যার সবই নরওয়ের উত্তরে (Bodø, Tromsø এবং Nordkapp – The North Cape, Spitsbergen) অবস্থিত।
নরওয়েতে গ্রীষ্মকালে প্রায় প্রতিটি শহরে বেশিরভাগ রাতেই দিনের আলো লক্ষ্য করা যায়। এমনকি অনেক সময় মধ্যরাতে সূর্য দেখা যায় না, কিন্তু তারপরেও দিনের আলো থাকে। তবে এটিকে প্রকৃতপক্ষে মধ্যরাতের সূর্য বলা যাবে না, এটি সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় অর্থাৎ গোধূলি হবে। গ্রীষ্মেকালীন দিনগুলিতে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মধ্যে খুব কম সময় থাকে, তাই এটি মধ্যরাতের সূর্য বলে মনে হয়।
নিশীথ সূর্যের কারণ কি?
আমরা জানি যে পৃথিবী প্রতি ২৪ ঘন্টায় তার নিজ অক্ষে একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করে, যার ফলে এই ২৪ ঘন্টায় পৃথিবীর পৃষ্ঠে দিন এবং রাত উভয়ই হয়। যদি পৃথিবী তার অক্ষের সাথে সম্পুর্ন লম্ব ভাবে অবস্থান করতো, তাহলে পৃথিবীর সব জায়গায় সারা বছর জুড়ে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা দিনের আলো এবং ১২ ঘন্টা রাত থাকত।
কিন্তু পৃথিবী আসলে বিষুবরেখার দিকে প্রায় ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে আছে। তাই গ্রীষ্মের অয়নকালে আর্কটিক সার্কেল অঞ্চলে সূর্য অস্ত যায় না এবং উত্তর মেরুতে পুরো ছয় মাস সময়কালের জন্য সূর্য অস্ত যায় না। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে এর ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটে। পৃথিবীর অক্ষের দিকে হেলে থাকা আমাদের ঋতু পরিবর্তনের জন্যও দায়ী।
![নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে](https://i0.wp.com/blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0XA22lf7MN8vQg8zlD2aTq8XK4QNs5kAR61fkcerLT8-wedQU5x7j54voiEFWL8-dxFf4O6us4pgpRM938pumqTnFwz5IIFgzYiFHSUfFGRKwTR9V1GjCj3-JXQmhYnTn5_XjocRpRds386Otd6Se-i3xXXMn5If0SRop8NZMqGmhCVOvIbouT8dSPw/w400-h225/Landscape-Norwegian-Fjord-Midnightsun-4921314.jpg?w=700&ssl=1)
অন্যান্য দেশে নিশীথ সূর্য
এই ঘটনাটি যে শুধুমাত্র নরওয়েতেই হয় বিষয়টি এমন নয়। আর্কটিক সার্কেলের উত্তরে সহ অনেক দেশেই এই ঘটনা দেখা যায়।
নিশীথ সূর্য দেখার জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল ভাল জায়গা হতে পারে। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ যেমন- আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার কিছু অঞ্চল, আলাস্কা এবং কানাডার উত্তরাঞ্চলেও এই ঘটনাটি লক্ষ্য করা যায়।