পৃথিবীতে ছোট বড় অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তবে কোনো আগ্নেয়গিরিই হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়ার মতো বড় নয়। হাওয়াইয়ান ভাষায় মাউনা লোয়া মানে “লম্বা পর্বত”। মাউনা লোয়া পাঁচটি আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি যা একসাথে হাওয়াইয়ের বড় দ্বীপ তৈরি করে এবং তা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত। এটি কিলাউয়া নামক আগ্নেয়গিরির উত্তরে অবস্থিত, যা বর্তমানে সক্রিয়। কিলাউয়া ২০১৮ সালের অগ্ন্যুৎপাতের জন্য সুপরিচিত। এর কারণে তখন ৭০০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং এর লাভা খামার, নদী এবং সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়েছিল। মাউনা লোয়া শেষ বিস্ফোরিত হয়েছিল প্রায় ৩৮ বছর আগে।
দৈত্যাকৃতির মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৬৭৭ ফুটের (৪১৬৯ মিটার) উপরে অবস্থিত। তবে এটি শুধুমাত্র আগ্নেয়গিরির শীর্ষ। যদি প্রশান্ত মহাসাগরের নিচ থেকে মাউনা লোয়ার উচ্চতা হিসাব করা হয় তবে এটি নিচ থেকে সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত ২৯,০০০ ফুটের বেশি, প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের মতো উঁচু। তবে বর্তমানে মাউনা লোয়াকে একটি শান্ত আগ্নেয়গিরি হিসাবে দেখা হয়। ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় মাউনা লোয়ার আয়তন ৮৩,০০০ ঘন কিলোমিটার অনুমান করা হয়েছে।
এই আগ্নেয়গিরির শীর্ষে একটি বড় বাটি আকৃতির গর্ত রয়েছে যাকে বলা হয় মোকুয়াওয়েওয়েও। এর ক্ষেত্রফল ৬ বর্গ মাইল (১৫ বর্গ কিলোমিটার) এবং এটি ৬০০ ফুট (১৮০ মিটার) গভীর। মোকুয়াওয়েওয়েও এর বয়স প্রায় ৬০০-৭৫০ বছর বলে অনুমান করা হয়।
১৮৪৩ সাল থেকে মাউনা লোয়াতে ৩৩ বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। ১৯৫০ সালের জুনে লাভা প্রবাহে সেখানকার একটি ছোট গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়। এই আগ্নেয়গিরিতে সর্বশেষ বড় অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে।