আপনি যদি কোনো শিশুর মা কিংবা বাবা হয়ে থাকেন তবে আপনি ইতিমধ্যেই অনেক সাবধানে থাকবেন। একটি নবজাতক শিশু পরিবারে অনেক আনন্দ নিয়ে আসে। তবে শিশুকে সামলানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নবজাতক শিশুরা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং তাদের সংক্রমণের হার অনেক বেশি। একটি নবজাতক শিশু পরিবারে অনেক আনন্দ নিয়ে আসে। তবে শিশুকে সামলানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু, শিশুরা সংবেদনশীল, সেহেতু তাদের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণের সংস্পর্শে আসা থেকে রক্ষা করা দরকার। নবজাতক শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশ কম। সুতরাং, পিতামাতা হিসাবে আপনার শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ প্রদানের জন্য আপনাকে অবশ্যই তার যথাযথ যত্ন নিতে হবে। এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা আপনাকে আপনার শিশুর আরও ভাল করে যত্ন নিতে সাহায্য করবে।
কোন বিষয়গুলো আপনার নবজাতক শিশুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে?
- শিশুকে উষ্ণ রাখুন
- শিশুকে চুম্বন করা থেকে অন্যদের বিরত রাখুন
- সবসময় আপনার হাত ধোয়া নিশ্চিত করুন
- আপনার শিশুকে অন্তত ৬ মাস বুকের দুধ খাওয়ান
- শিশুর কাপড় আলাদাভাবে ধুয়ে নিন
শিশুকে উষ্ণ রাখুন
বাচ্চাদের বাইরের পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য ও বেড়ে ওঠার জন্য উষ্ণ তাপমাত্রা প্রয়োজন। মায়ের স্পর্শ শিশুকে উষ্ণতা প্রদানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্পর্শ।
শিশুকে চুম্বন করা থেকে অন্যদের বিরত রাখুন
যেহেতু নবজাতক শিশুরা খুব সংবেদনশীল এবং সংক্রমণের প্রবণ, তাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অপরিচিত ব্যক্তিদের শিশুকে চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এটি সংক্রামক সংক্রমণের বিস্তার ঘটাতে পারে এবং শিশু সমস্যায় পড়তে পারে।
সবসময় আপনার হাত ধোয়া নিশ্চিত করুন
আমাদের হাত একাধিক জিনিসের সংস্পর্শে আসে যা সংক্রমিত হয়। তাই, নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি শিশুকে কোলে নেয়ার আগে বা তাদের খাওয়ানোর আগে আপনার হাত সঠিকভাবে ধুয়া হয়েছে কিনা।
আপনার শিশুকে অন্তত ৬ মাস বুকের দুধ খাওয়ান
মায়ের বুকের দুধই শিশুর পুষ্টির একমাত্র উৎস। শিশুর পুষ্টির সঠিক গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একজন মাকে কমপক্ষে 6 মাস শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
শিশুর কাপড় আলাদাভাবে ধুয়ে নিন
নিশ্চিত করুন যে আপনি বাকি কাপড়ের সাথে শিশুর জামাকাপড় ধুবেন না। শিশুর জামাকাপড় নিরাপদে রাখতে এবং সংক্রমণ মুক্ত রাখতে অবশ্যই আলাদাভাবে ধৌত করতে হবে।