অনেকক্ষেত্রেই অনেককে বলতে দেখা যায় যে চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী মাকে বাঁচাতে কখনোই গর্ভপাতের দরকার হয় না। কথাটি কি আসলেই সত্যি? তাহলে চলুন গর্ভপাত সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভপাত কি?
গর্ভপাত এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি গর্ভাবস্থা শেষ হয় কোনো সন্তানের জন্ম না দিয়েই কখনও কখনও এটি “গর্ভাবস্থার সমাপ্তি” বলা হয়। গর্ভপাত দুই প্রকার, ‘মেডিকেল’ এবং ‘সার্জিক্যাল’।
গর্ভপাত কি চিকিৎসায় প্রয়োজনীয়?
সাধারণত না। কিন্তু মেডিকেলের কিছু জরুরী অবস্থা আছে যেখানে মায়ের জীবন বাঁচাতে গর্ভপাত করানো জরুরি হয়ে পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ: গর্ভপাতের প্রাথমিক চিন্তা করা হয় যদি জরায়ুতে কোনও সংক্রমণ থাকে যার কারণে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ আগে জল ভেঙে যেতে পারে। অবস্থাটি জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে কারণ জরায়ুর অভ্যন্তরে সংক্রমণ খুব দ্রুত মায়ের রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে এবং মহিলাটি শেষ পর্যন্ত সেপটিক হয়ে যায়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, যদি মহিলার গর্ভাবস্থা অব্যাহত থাকে তবে এটি খুবই মারাত্মক হতে পারে।
‘Placental abruption‘ হচ্ছে আরেকটি অস্বাভাবিক অথচ গুরুতর অবস্থা যা জরায়ু থেকে প্লাসেন্টাকে আলাদা করে। প্ল্যাসেন্টাল অ্যাব্রাপশনের সময় ভারী রক্তপাতের মত গুরুতর ঘটনা ঘঠতে পারে যার জন্য একজন মহিলা হেমোরেজিক শকে যেতে পারেন।
‘preeclampsia’ নামে আরেকটি গর্ভাবস্থা-জনিত জটিলতা রয়েছে যা কখনও কখনও গর্ভাবস্থার ২০ তম সপ্তাহে ঘটে এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়। একজন ডাক্তার অঙ্গের ক্ষতি রোধ করতে গর্ভপাতের সুপারিশ করতে পারেন।
আবার অনেকক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি শিশুর ক্ষতি করতে পারে যার জন্য চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে মায়ের জীবন বাঁচাতে হলে গর্ভপাত জরুরি হয়ে পড়ে।